পলিসির নাম: শিশু শ্রম নীতিমালা (Child Labor Policy)

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সর্বদা বিশ^াস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্য সবসময়ই একটি নিরপেক্ষ, নিখুঁত ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশুশ্রম বা শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কোম্পানীর অভ্যন্তরে শিশুশ্রম মুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তোলাই এই নীতিমালর উদ্দেশ্য। কারখানার অভ্যন্তরে শিশু শ্রম নিরসন ও প্রতিরোধ করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট “শিশুশ্রম নীতি” প্রণয়ন করা হয়েছে। লিবাস টেক্সটাইল লিঃ কখনও প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নিয়োগে উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান যে কোন প্রকার শিশুশ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির লক্ষ্য।
ভুলক্রমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ ঃ লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ কখনই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে না। যদি ভুলক্রমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং তা যদি পরবর্তীতে সনাক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে নি¤œবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করা হইয়া থাকে।

ক) কাজে নিয়োজিত শিশুকে তৎক্ষনাৎ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং তাকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে এনে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
খ) শিশুকে তার পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবকের নিকট অনতিবিলম্বে সোপর্দ করতে হবে।
গ) উক্ত শিশুর স্কুলের বই, খাতা-পত্র, স্কুলের বেতন ভাতা এবং আনুষাঙ্গিক যাবতীয় খরচ কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
ঘ) উক্ত শিশু শ্রমিককে কেউ কর্মক্ষম ও যোগ্য হলে কোম্পানী তাকে চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করিবে।
ঙ) শিশুর পরিবারের কেউ কর্মক্ষম ও যোগ্য হলে কোম্পানী তাকে চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করিবে।
চ) শিশু শ্রমিককে কারখানায় কোন কাজে নিযুক্ত করা হইবে না, তবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা-৪৪ অনুযায়ী তাহার বয়স যদি ১২ বছরের অধিক হয় সেক্ষেত্রে তাহাকে হালকা কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে যাহা তাহার স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য বিপদজ্জনক নহে অথবা যাহা তাহার শিক্ষা গ্রহণকে বিঘিœত করিবে না। এবং শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহলে তার কর্মসময় এমনভাকে নির্ধারণ করতে হবে যেন ইহা তার বিদ্যালয় গমনকে বিঘিœত না করে। শিশু শ্রমিককে কাজে নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর কিশোর শ্রমিক সংক্রান্ত সকল বিধান প্রযোজ্য হইবে।
ছ) শিশু শ্রমিকের জন্য একটি আলাদা রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিতে হইবে।

 

পলিসির নাম: আরোপিত বা বলপ্রয়োগ শ্রম নিষিদ্ধকরণ নীতি

(POLICY OF PROHIBITED OF FORCED LABOUR):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিশ^াস করে যে, প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ স্বাধীন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ^াস করে। উৎপাদনের সকল স্তরে বল প্রয়োগ শ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইল লিঃ সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এরাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কখনও কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কাজে নিয়োগ, বাধ্যতামুলক শ্রম ও বলপ্রয়োগ করে অতিরিক্ত কাজে উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার দাসত্ববোধ বা বন্দীমূলক শ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত। শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা প্রদানে এই প্রতিষ্ঠান বন্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির উদ্দেশ্য।
শ্রমিক কর্মচারীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন চেতনা বোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের মাধ্যমে হয়রানি উৎপীড়ন মুক্ত ও স্বেচ্ছাধীন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন এই নীতির প্রধান লক্ষ্য।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিককে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা শারীরিক নির্যাতন করে অথবা ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে কাজ না করানো বল প্রয়োগমূলক বা বাধ্যতা মূলক সকল ধরণের শ্রমের ব্যবহার দমনে এবং ইহা বাস্তবায়নে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। এই নীতি কার্যকর করতে কোম্পানী বায়ারগণের আচরণবিধি, আইএরও কনভেশন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান অনুসরণ করে।
নি¤œলিখিত কাজগুলো বাধ্যতামূলক শ্রম হিসাবে বিবেচিত হবে ঃ

১. যে কোন ধরনের বন্দীশ্রম বা বাধ্যতামূলক শ্রম।
২. নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল সনদ পত্র বা জাতীয় পরিচয় পত্র বা টাকা জামানত রাখা।
৩. কর্মীও টাকা বকেয়া রেখে অতিরিক্ত সময় কাজ করার জন্য বল প্রয়োগ করা।
৪. ছুটি গ্রহণে অনুৎসাহিত করা বা বাধা প্রদান করা।
৫. অসুস্থ শ্রমিককে ক্লিনিকে যেতে বাধা প্রদান করা।
৬. পানি পানে বা টয়লেট ব্যবহারে বাধা প্রদান করা।
৭. চাকুরীর স্বাভাবিক অবসানের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করা বা নিষেধ করা।
৮. অতিরিক্ত সময়ে কাজের জন্য বল প্রয়োগ করা বা বিনা অনুমতিতে অতিরিক্ত সময়ে কাজ করতে বাধ্য করা।
৯. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর্মীকে চাকুরীতে কর্মরত থাকতে চুক্তিবদ্ধ করা ইত্যাদি।
১০. অতিরিক্ত টাকা অগ্রিম দিয়ে বা অন্য কোন কিছু জমা রেখে পদত্যাগ না করতে বাধ্য করা।
১১. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ না করা।

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এ ধরণের কোন কাজে সমর্থন করে না বরং এধরণের কোন ঘটনা ঘটার সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রæত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।

পলিসির নাম: বৈষম্যহীনতার নীতি (Non-Discrimination Policy):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণকে সহ্য কওে না এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।
সমঅধিকার নিশ্চিত করন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করাই মূলত এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। মালিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং অধিনস্থ অধঃনস্থদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার শ্রমিক কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যে পর্যবাসিত করার কোন বিকল্প নেই।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দক্ষ ও বিশ^স্ত কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিশ্রæতিবন্ধ এবং এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোন প্রকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও অঞ্চলভেদে নিয়োগদান না করে যোগ্যতা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দান করতে এবং অনুরূপ ভাবে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও যথাযথ কর্মী মূল্যায়নের মাধ্যমে তা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে উৎপাদনের সকল স্তরে বৈষম্যহীন পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয়, তবে প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্রবিশেষে ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়মও মানা হতে পারে। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবে।
নির্দেশিকা ঃ

১. কর্মসংস্থান, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিটি কর্মচারীর যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্মদক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে কোন প্রকার ভেদাভেদ করা হবে না।
২. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল নারী পুরুষ যোগ্যতার ভিত্তিতে এখানে চাকুরী করতে পারবে।
৩. পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং আচার আচরনকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে কোন দিক থেকে বৈষম্য করা যাবে না।
৪. সকল ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন সর্বদা মেনে চলা হয় এবং শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকলকে সমান মর্যাদা দেওয়া হয়।
৫. কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের সাথে সঙ্গতিবিহীন কোন প্রশ্ন করা হয় না এবং চাকুরী প্রার্থীদের দরখাস্তসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে কেবলমাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
৬. কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর সাতে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সহিত আচরণ করবে এবং কর্মক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে।

পলিসির নাম ঃ হয়রানী ও উৎপীড়ণ মুক্ত নীতিমালা

(PROHIBITION OF HARASSMENT AND ABUSE POLICY):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য সুন্দর কর্মপরিবেশ গড়ার জন্য ব্যবস্থাপনা হয়রানী ও উৎপীড়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কোন অবস্থাতেই কোন শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা তার অধঃস্তন বা উর্ধ্বতন বা সমপর্যায়ের কাউকে হয়রানী বা উৎপীড়নের পর্যায়ে পড়ে এমন কাজ করিতে পারিবে না। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ব্যব¯া’পনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে কোম্পানীর অব্যাহত উন্নতি এবং উৎদপাদন লক্ষমাত্রা অর্জন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন, হয়রানি ও লাঞ্চনার ¯ী^কার হন তবে তার প্রতিকার কামনা করা।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন,
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ হয়রানি ও লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ব অনুযোগ উত্তাপিত হলে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বায়ারগনের আচরনবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সং¯িষ্টø ধারা যথাযথভবে অনুসরন করবে।

হয়রানি বা অসদাচরণ এর প্রকারভেদঃ
কলকারখানায় কর্মরত শ্িরমকদের মাঝে নানাবিধ অভিযোগ এর কথা সচারচর শোনা যায়। ঐসব অভিযোগগুলিকে তাদের প্রকৃতিগত বিবেচনায় হয়রানি বা অসদাচরণতিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়, যেমনঃ-

মানসিক নির্যাতনঃ
 সুপারভাইজার বা সহযোগী শ্রমিকদের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক আচারণ, গালাগাল, অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার ইত্যাদি।
ওভারটাইম বন্টনে পক্ষপাতিত্ব।
 কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরণের আচরনের জন্য মজুরী কর্তন বা মজরুী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা
 ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন কাজের দায়িত্ব প্রদান বা কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে হেয় করার প্রবণতা
 আইন সঙ্গত এং স্বাভাবিক পাওনা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা
 প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া

শারিরীক নির্যাতনঃ
 সুপারভাইজার কিংবা তার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে অন্য শ্রমিক দ্বারা শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া
 যেকোন শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা অসু¯ত’ার সৃষ্টি করতে পারে
 ভারী কাজ নিয়মিতভাবে অর্পন করে শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্র¯ ’করা
 যে কোন ঘটনার সংগে জড়িয়ে গায়ে হাত তোলা বা প্রহার করা

যৌন নিপীড়ন জনিতঃ
 অনাকাঙ্খিত যৌন আবেদনমূলক আচরন (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিত) যেমন : শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা
 প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠনিক বা পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বা চেষ্টা করা
 অশালীণ অঙ্গভঙ্গি করা এবং যৌন আবেদন স¤^িলত পর্নোগ্রাফী প্রদশর্ন
 যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা উপহাস করা

পলিসির নাম : সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতি (Freedom of Association Policy):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ শ্রম ও শিল্প আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার অধিকারকে সাদরে গ্রহণ করেছে। এই দৃষ্টিকোন থেকে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত কোন শ্রমিক-কর্মচারী যাতে কোন ধরণের বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা হয়রানির স্বীকার না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখিয়া লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ “সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতি” প্রণয়ন করেছে।
ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার মাধ্যমে শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের এবং মালিকের সাথে শ্রমিকের সুসম্পর্ক গড়ে তোলাই মূলত এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের তাদের পছন্দমত শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করার এবং শ্রম আইন মোতাবেক উক্ত সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে কোন প্রকার বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা হুমকি প্রদান করে না। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ কারখানার সকল কর্মীদের অধিকার ও উন্নতি সম্পর্কে সচেতন করতে চায়।
মালিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং অধিনস্থ ও অধঃনস্থদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার শ্রমিক কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ সংঘঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যে পর্যবাসিত করার কোন বিকল্প নেই।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর গংঘঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দর ও বিশ^স্ত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং এই লক্ষ্যে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোন প্রকার বাধা প্রদান না করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে ক্রেতাদের আচরণ বিধি , আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবে।

পলিসির নাম : স্বাস্থ্য-সেইফটি নীতিমালা (Heath & Safety Policy):

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর প্রতিটি সেকশনের জন্য একটি সু-পরিকল্পিত বাস্তবতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন করা হয়। আর সেই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যগুলো নি¤েœ আলোকপাত করা হল ঃ-
ক্স প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ক্স প্রতিটি ফ্যাক্টরী ও পার্শ¦বর্তী এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
ক্স ফ্যাক্টরীর প্রতিটি ষ্টাফ ও শ্রমিককে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা ।
ক্স স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক প্রতিটি শ্রমিকের জন্য প্রয়োজনীয় হাসপাতাল,ডাক্তার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
ক্স ফ্যাক্টরীর প্রতিটি শ্রমিকের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ক্স অনাকাঙ্খিত বৈদ্যুতিক ও অগ্নি দুর্ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা,প্রশিক্ষন ও নিয়মিত অনুশীলন করা।

যেকোন দুর্ঘটনা হতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান এবং কর্মস্থলে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধান করাই এই নীতির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন এবং তা কার্যে পর্যবসিত করার কোন বিকল্প নেই।

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ দূর্ঘটনা মুক্ত একটি কর্ম পরিবেশ প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সবসময় অব্যহত রাখবে। এছাড়া যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা মোকাবেলায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনেও এই প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারবদ্ধ। তাছাড়া ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ আইএলও কনভেশন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
প্রশিক্ষনঃ
 নতুন শ্রমিকগণকে অরিএনটেশন টেনিং-এ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
 সকল শ্রমিকগণকে এ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
 সুপাইভারজর, লাইন চিপ এবং ম্যানেজারগনকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
এই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিটি দুইটি পর্বে উপস্থাপন করা হবেঃ
ক) প্রথম পর্ব ঃ স্বাস্থ্য নীতি
খ) দ্বিতীয় পর্ব ঃ সেইফটি নীতি

পলিসির নাম : কর্মঘন্টা নীতি (Working Hours policy):

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান তৈরিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ এই কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্র বিশেষ ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়ম ও মানা হতে পারে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে।

প্রতিদিনের কাজের সময় সূচী ঃ
কর্তৃপক্ষ একটি মানসম্পন্ন কাজের সময় সূচী নির্ধারন করেছেন, যাহা বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রনীত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম ৮ ঘন্টার অতিক্রম করবেনা। প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় শুরু এবং বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় শেষ। সাধারন কার্যক্রমে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি বেলা ০১.০০টা থেকে বেলা ০২.০০টা পর্যন্ত।

সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা ঃ
প্রতিষ্ঠানে সাধারনত সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টার অধিক কাজ করানো হইবে না এবং অতিরিক্ত কর্মঘন্টা সহ সপ্তাহে কোন শ্রমিকের মোট কর্ম সময় (৪৮+১২) = ৬০ ( ষাট) ঘন্টার অধিক হবেনা এবং কোন বৎসওে উহা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ ( ছাপ্পান্ন) ঘন্টার অধিক হবেনা।
ওভারটাইম/ অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ঃ
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ সেচ্ছাধীন, বাধ্যতামূলক নয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যেমন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, লক আউট, ধর্মঘট, বৈদ্যুতিক বিপর্যয়, মেশিনারিজ সমস্যা, রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ইত্যাদির কারনে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা জরুরী শিপমেন্ট এর কাজের কারনে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করানো যাবে। যদি কোন শ্রমিক ইচ্ছা করেন তিনি অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করবেন না তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কোন বাঁধা দিতে পারবেনা। এই অতিরিক্ত কাজের সময় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ১২ ঘন্টা। কর্তৃপক্ষ কখনোই অতিরিক্ত কাজকে উৎসাহিত করে না তবে উপরোক্ত জরুরী কাজের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শ্রমিকদের সম্মতিতে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে।

পলিসির নাম: অভিযোগ প্রদান ও সমাধান নীতি

(GRIEVANCE HANDLING PROCEDURE):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এ কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অভিযোগ, অনুযোগ এবং পরামর্শ নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রয়োগ হবে।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন
লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ বা অনুযোগ উত্তাপিত হলে এবিসি
কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। এবিসি মিলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে
আচরনবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে।

যে কোন অভিযোগ সাত দিনের মধ্যে মিটিং এর মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয় । যদি সাত দিনে পারা না যায় সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় উল্লেখ করে সমাধান করা হবে বলে অঙ্গিকার করা হয়। যদি এটা শ্রমিকের সন্তষজনক না হয় তাহলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে। মিটিং সমাধানের উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সমাধান না হলে সে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে।
পলিসির নাম ঃ শিশু শ্রম নীতিমালা (ঈযরষফ খধনড়ৎ চড়ষরপু):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সর্বদা বিশ^াস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্য সবসময়ই একটি নিরপেক্ষ, নিখুঁত ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশুশ্রম বা শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কোম্পানীর অভ্যন্তরে শিশুশ্রম মুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তোলাই এই নীতিমালর উদ্দেশ্য। কারখানার অভ্যন্তরে শিশু শ্রম নিরসন ও প্রতিরোধ করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট “শিশুশ্রম নীতি” প্রণয়ন করা হয়েছে। লিবাস টেক্সটাইল লিঃ কখনও প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নিয়োগে উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান যে কোন প্রকার শিশুশ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির লক্ষ্য।

ভুলক্রমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ ঃ লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ কখনই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে না। যদি ভুলক্রমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং তা যদি পরবর্তীতে সনাক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে নি¤œবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করা হইয়া থাকে।
ক) কাজে নিয়োজিত শিশুকে তৎক্ষনাৎ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং তাকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে এনে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
খ) শিশুকে তার পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবকের নিকট অনতিবিলম্বে সোপর্দ করতে হবে।
গ) উক্ত শিশুর স্কুলের বই, খাতা-পত্র, স্কুলের বেতন ভাতা এবং আনুষাঙ্গিক যাবতীয় খরচ কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
ঘ) উক্ত শিশু শ্রমিককে কেউ কর্মক্ষম ও যোগ্য হলে কোম্পানী তাকে চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করিবে।
ঙ) শিশুর পরিবারের কেউ কর্মক্ষম ও যোগ্য হলে কোম্পানী তাকে চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করিবে।
চ) শিশু শ্রমিককে কারখানায় কোন কাজে নিযুক্ত করা হইবে না, তবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা-৪৪ অনুযায়ী তাহার বয়স যদি ১২ বছরের অধিক হয় সেক্ষেত্রে তাহাকে হালকা কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে যাহা তাহার স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য বিপদজ্জনক নহে অথবা যাহা তাহার শিক্ষা গ্রহণকে বিঘিœত করিবে না। এবং শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহলে তার কর্মসময় এমনভাকে নির্ধারণ করতে হবে যেন ইহা তার বিদ্যালয় গমনকে বিঘিœত না করে। শিশু শ্রমিককে কাজে নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর কিশোর শ্রমিক সংক্রান্ত সকল বিধান প্রযোজ্য হইবে।
ছ) শিশু শ্রমিকের জন্য একটি আলাদা রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিতে হইবে।

পলিসির নাম ঃ আরোপিত বা বলপ্রয়োগ শ্রম নিষিদ্ধকরণ নীতি :

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিশ^াস করে যে, প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ স্বাধীন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ^াস করে। উৎপাদনের সকল স্তরে বল প্রয়োগ শ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইল লিঃ সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এরাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কখনও কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কাজে নিয়োগ, বাধ্যতামুলক শ্রম ও বলপ্রয়োগ করে অতিরিক্ত কাজে উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার দাসত্ববোধ বা বন্দীমূলক শ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত। শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা প্রদানে এই প্রতিষ্ঠান বন্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির উদ্দেশ্য।
শ্রমিক কর্মচারীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন চেতনা বোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের মাধ্যমে হয়রানি উৎপীড়ন মুক্ত ও স্বেচ্ছাধীন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন এই নীতির প্রধান লক্ষ্য।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিককে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা শারীরিক নির্যাতন করে অথবা ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে কাজ না করানো বল প্রয়োগমূলক বা বাধ্যতা মূলক সকল ধরণের শ্রমের ব্যবহার দমনে এবং ইহা বাস্তবায়নে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। এই নীতি কার্যকর করতে কোম্পানী বায়ারগণের আচরণবিধি, আইএরও কনভেশন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান অনুসরণ করে।
নি¤œলিখিত কাজগুলো বাধ্যতামূলক শ্রম হিসাবে বিবেচিত হবে ঃ
১. যে কোন ধরনের বন্দীশ্রম বা বাধ্যতামূলক শ্রম।
২. নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল সনদ পত্র বা জাতীয় পরিচয় পত্র বা টাকা জামানত রাখা।
৩. কর্মীও টাকা বকেয়া রেখে অতিরিক্ত সময় কাজ করার জন্য বল প্রয়োগ করা।
৪. ছুটি গ্রহণে অনুৎসাহিত করা বা বাধা প্রদান করা।
৫. অসুস্থ শ্রমিককে ক্লিনিকে যেতে বাধা প্রদান করা।
৬. পানি পানে বা টয়লেট ব্যবহারে বাধা প্রদান করা।
৭. চাকুরীর স্বাভাবিক অবসানের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করা বা নিষেধ করা।
৮. অতিরিক্ত সময়ে কাজের জন্য বল প্রয়োগ করা বা বিনা অনুমতিতে অতিরিক্ত সময়ে কাজ করতে বাধ্য করা।
৯. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর্মীকে চাকুরীতে কর্মরত থাকতে চুক্তিবদ্ধ করা ইত্যাদি।
১০. অতিরিক্ত টাকা অগ্রিম দিয়ে বা অন্য কোন কিছু জমা রেখে পদত্যাগ না করতে বাধ্য করা।
১১. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ না করা।

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এ ধরণের কোন কাজে সমর্থন করে না বরং এধরণের কোন ঘটনা ঘটার সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রæত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
পলিসির নাম ঃ বৈষম্যহীনতার নীতি (ঘড়হ-উরংপৎরসরহধঃরড়হ চড়ষরপু):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণকে সহ্য কওে না এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।
সমঅধিকার নিশ্চিত করন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করাই মূলত এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। মালিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং অধিনস্থ অধঃনস্থদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার শ্রমিক কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যে পর্যবাসিত করার কোন বিকল্প নেই।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দক্ষ ও বিশ^স্ত কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিশ্রæতিবন্ধ এবং এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোন প্রকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও অঞ্চলভেদে নিয়োগদান না করে যোগ্যতা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দান করতে এবং অনুরূপ ভাবে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও যথাযথ কর্মী মূল্যায়নের মাধ্যমে তা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে উৎপাদনের সকল স্তরে বৈষম্যহীন পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয়, তবে প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্রবিশেষে ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়মও মানা হতে পারে। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবে।
নির্দেশিকা ঃ
১. কর্মসংস্থান, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিটি কর্মচারীর যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্মদক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে কোন প্রকার ভেদাভেদ করা হবে না।
২. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল নারী পুরুষ যোগ্যতার ভিত্তিতে এখানে চাকুরী করতে পারবে।
৩. পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং আচার আচরনকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে কোন দিক থেকে বৈষম্য করা যাবে না।
৪. সকল ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন সর্বদা মেনে চলা হয় এবং শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকলকে সমান মর্যাদা দেওয়া হয়।
৫. কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের সাথে সঙ্গতিবিহীন কোন প্রশ্ন করা হয় না এবং চাকুরী প্রার্থীদের দরখাস্তসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে কেবলমাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
৬. কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর সাতে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সহিত আচরণ করবে এবং কর্মক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে।

পলিসির নাম ঃ হয়রানী ও উৎপীড়ণ মুক্ত নীতিমালা (চজঙঐওইওঞওঙঘ ঙঋ ঐঅজঅঝঝগঊঘঞ অঘউ অইটঝঊ চঙখওঈণ):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য সুন্দর কর্মপরিবেশ গড়ার জন্য ব্যবস্থাপনা হয়রানী ও উৎপীড়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কোন অবস্থাতেই কোন শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা তার অধঃস্তন বা উর্ধ্বতন বা সমপর্যায়ের কাউকে হয়রানী বা উৎপীড়নের পর্যায়ে পড়ে এমন কাজ করিতে পারিবে না। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ব্যব¯া’পনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে কোম্পানীর অব্যাহত উন্নতি এবং উৎদপাদন লক্ষমাত্রা অর্জন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন, হয়রানি ও লাঞ্চনার ¯ী^কার হন তবে তার প্রতিকার কামনা করা।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন,
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ হয়রানি ও লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ব অনুযোগ উত্তাপিত হলে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বায়ারগনের আচরনবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সং¯িষ্টø ধারা যথাযথভবে অনুসরন করবে।

হয়রানি বা অসদাচরণ এর প্রকারভেদঃ
কলকারখানায় কর্মরত শ্িরমকদের মাঝে নানাবিধ অভিযোগ এর কথা সচারচর শোনা যায়। ঐসব অভিযোগগুলিকে তাদের প্রকৃতিগত বিবেচনায় হয়রানি বা অসদাচরণতিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়, যেমনঃ-
মানসিক নির্যাতনঃ
 সুপারভাইজার বা সহযোগী শ্রমিকদের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক আচারণ, গালাগাল, অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার ইত্যাদি।
ওভারটাইম বন্টনে পক্ষপাতিত্ব।
 কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরণের আচরনের জন্য মজুরী কর্তন বা মজরুী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা
 ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন কাজের দায়িত্ব প্রদান বা কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে হেয় করার প্রবণতা
 আইন সঙ্গত এং স্বাভাবিক পাওনা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা
 প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া
শারিরীক নির্যাতনঃ
 সুপারভাইজার কিংবা তার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে অন্য শ্রমিক দ্বারা শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া
 যেকোন শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা অসু¯ত’ার সৃষ্টি করতে পারে
 ভারী কাজ নিয়মিতভাবে অর্পন করে শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্র¯ ’করা
 যে কোন ঘটনার সংগে জড়িয়ে গায়ে হাত তোলা বা প্রহার করা
যৌন নিপীড়ন জনিতঃ
 অনাকাঙ্খিত যৌন আবেদনমূলক আচরন (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিত) যেমন : শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা
 প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠনিক বা পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বা চেষ্টা করা
 অশালীণ অঙ্গভঙ্গি করা এবং যৌন আবেদন স¤^িলত পর্নোগ্রাফী প্রদশর্ন
 যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা উপহাস করা

পলিসির নাম ঃ সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতি (ঋৎববফড়স ড়ভ অংংড়পরধঃরড়হ চড়ষরপু):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ শ্রম ও শিল্প আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার অধিকারকে সাদরে গ্রহণ করেছে। এই দৃষ্টিকোন থেকে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত কোন শ্রমিক-কর্মচারী যাতে কোন ধরণের বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা হয়রানির স্বীকার না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখিয়া লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ “সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতি” প্রণয়ন করেছে।
ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার মাধ্যমে শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের এবং মালিকের সাথে শ্রমিকের সুসম্পর্ক গড়ে তোলাই মূলত এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের তাদের পছন্দমত শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করার এবং শ্রম আইন মোতাবেক উক্ত সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে কোন প্রকার বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা হুমকি প্রদান করে না। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ কারখানার সকল কর্মীদের অধিকার ও উন্নতি সম্পর্কে সচেতন করতে চায়।
মালিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং অধিনস্থ ও অধঃনস্থদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার শ্রমিক কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ সংঘঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যে পর্যবাসিত করার কোন বিকল্প নেই।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর গংঘঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দর ও বিশ^স্ত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং এই লক্ষ্যে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোন প্রকার বাধা প্রদান না করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে ক্রেতাদের আচরণ বিধি , আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবে।

পলিসির নাম ঃ স্বাস্থ্য-সেইফটি নীতিমালা (ঐবধঃয ্ ঝধভবঃু চড়ষরপু):

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর প্রতিটি সেকশনের জন্য একটি সু-পরিকল্পিত বাস্তবতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন করা হয়। আর সেই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যগুলো নি¤েœ আলোকপাত করা হল ঃ-
ক্স প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ক্স প্রতিটি ফ্যাক্টরী ও পার্শ¦বর্তী এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
ক্স ফ্যাক্টরীর প্রতিটি ষ্টাফ ও শ্রমিককে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা ।
ক্স স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক প্রতিটি শ্রমিকের জন্য প্রয়োজনীয় হাসপাতাল,ডাক্তার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
ক্স ফ্যাক্টরীর প্রতিটি শ্রমিকের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ক্স অনাকাঙ্খিত বৈদ্যুতিক ও অগ্নি দুর্ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা,প্রশিক্ষন ও নিয়মিত অনুশীলন করা।

যেকোন দুর্ঘটনা হতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান এবং কর্মস্থলে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধান করাই এই নীতির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন এবং তা কার্যে পর্যবসিত করার কোন বিকল্প নেই।

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ দূর্ঘটনা মুক্ত একটি কর্ম পরিবেশ প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সবসময় অব্যহত রাখবে। এছাড়া যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা মোকাবেলায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনেও এই প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারবদ্ধ। তাছাড়া ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ আইএলও কনভেশন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
প্রশিক্ষনঃ
 নতুন শ্রমিকগণকে অরিএনটেশন টেনিং-এ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
 সকল শ্রমিকগণকে এ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
 সুপাইভারজর, লাইন চিপ এবং ম্যানেজারগনকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
এই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিটি দুইটি পর্বে উপস্থাপন করা হবেঃ
ক) প্রথম পর্ব ঃ স্বাস্থ্য নীতি
খ) দ্বিতীয় পর্ব ঃ সেইফটি নীতি
পলিসির নাম ঃ কর্মঘন্টা নীতি (ডড়ৎশরহম ঐড়ঁৎং ঢ়ড়ষরপু):

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান তৈরিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ এই কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্র বিশেষ ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়ম ও মানা হতে পারে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে।

প্রতিদিনের কাজের সময় সূচী ঃ
কর্তৃপক্ষ একটি মানসম্পন্ন কাজের সময় সূচী নির্ধারন করেছেন, যাহা বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রনীত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম ৮ ঘন্টার অতিক্রম করবেনা। প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় শুরু এবং বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় শেষ। সাধারন কার্যক্রমে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি বেলা ০১.০০টা থেকে বেলা ০২.০০টা পর্যন্ত।

সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা ঃ
প্রতিষ্ঠানে সাধারনত সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টার অধিক কাজ করানো হইবে না এবং অতিরিক্ত কর্মঘন্টা সহ সপ্তাহে কোন শ্রমিকের মোট কর্ম সময় (৪৮+১২) = ৬০ ( ষাট) ঘন্টার অধিক হবেনা এবং কোন বৎসওে উহা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ ( ছাপ্পান্ন) ঘন্টার অধিক হবেনা।
ওভারটাইম/ অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ঃ
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ সেচ্ছাধীন, বাধ্যতামূলক নয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যেমন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, লক আউট, ধর্মঘট, বৈদ্যুতিক বিপর্যয়, মেশিনারিজ সমস্যা, রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ইত্যাদির কারনে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা জরুরী শিপমেন্ট এর কাজের কারনে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করানো যাবে। যদি কোন শ্রমিক ইচ্ছা করেন তিনি অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করবেন না তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কোন বাঁধা দিতে পারবেনা। এই অতিরিক্ত কাজের সময় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ১২ ঘন্টা। কর্তৃপক্ষ কখনোই অতিরিক্ত কাজকে উৎসাহিত করে না তবে উপরোক্ত জরুরী কাজের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শ্রমিকদের সম্মতিতে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে।

পলিসির নাম ঃ অভিযোগ প্রদান ও সমাধান নীতি (এজওঊঠঅঘঈঊ ঐঅঘউখওঘএ চজঙঈঊউটজঊ):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এ কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অভিযোগ, অনুযোগ এবং পরামর্শ নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রয়োগ হবে।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন
লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ বা অনুযোগ উত্তাপিত হলে এবিসি
কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। এবিসি মিলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে
আচরনবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে।

যে কোন অভিযোগ সাত দিনের মধ্যে মিটিং এর মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয় । যদি সাত দিনে পারা না যায় সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় উল্লেখ করে সমাধান করা হবে বলে অঙ্গিকার করা হয়। যদি এটা শ্রমিকের সন্তষজনক না হয় তাহলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে। মিটিং সমাধানের উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সমাধান না হলে সে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে। ঝড়পরধষ/ষধনড়ৎ ঢ়ড়ষরপরবং ধহফ ঢ়ৎড়পবফঁৎবং

পলিসির নাম ঃ শিশু শ্রম নীতিমালা (ঈযরষফ খধনড়ৎ চড়ষরপু):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সর্বদা বিশ^াস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্য সবসময়ই একটি নিরপেক্ষ, নিখুঁত ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশুশ্রম বা শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কোম্পানীর অভ্যন্তরে শিশুশ্রম মুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তোলাই এই নীতিমালর উদ্দেশ্য। কারখানার অভ্যন্তরে শিশু শ্রম নিরসন ও প্রতিরোধ করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট “শিশুশ্রম নীতি” প্রণয়ন করা হয়েছে। লিবাস টেক্সটাইল লিঃ কখনও প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নিয়োগে উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান যে কোন প্রকার শিশুশ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির লক্ষ্য।
ভুলক্রমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ ঃ লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ কখনই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে না। যদি ভুলক্রমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং তা যদি পরবর্তীতে সনাক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে নি¤œবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করা হইয়া থাকে।
ক) কাজে নিয়োজিত শিশুকে তৎক্ষনাৎ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং তাকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে এনে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
খ) শিশুকে তার পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবকের নিকট অনতিবিলম্বে সোপর্দ করতে হবে।
গ) উক্ত শিশুর স্কুলের বই, খাতা-পত্র, স্কুলের বেতন ভাতা এবং আনুষাঙ্গিক যাবতীয় খরচ কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
ঘ) উক্ত শিশু শ্রমিককে কেউ কর্মক্ষম ও যোগ্য হলে কোম্পানী তাকে চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করিবে।
ঙ) শিশুর পরিবারের কেউ কর্মক্ষম ও যোগ্য হলে কোম্পানী তাকে চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করিবে।
চ) শিশু শ্রমিককে কারখানায় কোন কাজে নিযুক্ত করা হইবে না, তবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা-৪৪ অনুযায়ী তাহার বয়স যদি ১২ বছরের অধিক হয় সেক্ষেত্রে তাহাকে হালকা কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে যাহা তাহার স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য বিপদজ্জনক নহে অথবা যাহা তাহার শিক্ষা গ্রহণকে বিঘিœত করিবে না। এবং শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহলে তার কর্মসময় এমনভাকে নির্ধারণ করতে হবে যেন ইহা তার বিদ্যালয় গমনকে বিঘিœত না করে। শিশু শ্রমিককে কাজে নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর কিশোর শ্রমিক সংক্রান্ত সকল বিধান প্রযোজ্য হইবে।
ছ) শিশু শ্রমিকের জন্য একটি আলাদা রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিতে হইবে।

পলিসির নাম ঃ আরোপিত বা বলপ্রয়োগ শ্রম নিষিদ্ধকরণ নীতি (চঙখওঈণ ঙঋ চজঙঐওইওঞঊউ ঙঋ ঋঙজঈঊউ খঅইঙটজ):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিশ^াস করে যে, প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ স্বাধীন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ^াস করে। উৎপাদনের সকল স্তরে বল প্রয়োগ শ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইল লিঃ সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এরাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কখনও কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কাজে নিয়োগ, বাধ্যতামুলক শ্রম ও বলপ্রয়োগ করে অতিরিক্ত কাজে উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার দাসত্ববোধ বা বন্দীমূলক শ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত। শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা প্রদানে এই প্রতিষ্ঠান বন্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির উদ্দেশ্য।
শ্রমিক কর্মচারীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন চেতনা বোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের মাধ্যমে হয়রানি উৎপীড়ন মুক্ত ও স্বেচ্ছাধীন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন এই নীতির প্রধান লক্ষ্য।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিককে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা শারীরিক নির্যাতন করে অথবা ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে কাজ না করানো বল প্রয়োগমূলক বা বাধ্যতা মূলক সকল ধরণের শ্রমের ব্যবহার দমনে এবং ইহা বাস্তবায়নে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। এই নীতি কার্যকর করতে কোম্পানী বায়ারগণের আচরণবিধি, আইএরও কনভেশন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান অনুসরণ করে।
নি¤œলিখিত কাজগুলো বাধ্যতামূলক শ্রম হিসাবে বিবেচিত হবে ঃ
১. যে কোন ধরনের বন্দীশ্রম বা বাধ্যতামূলক শ্রম।
২. নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল সনদ পত্র বা জাতীয় পরিচয় পত্র বা টাকা জামানত রাখা।
৩. কর্মীও টাকা বকেয়া রেখে অতিরিক্ত সময় কাজ করার জন্য বল প্রয়োগ করা।
৪. ছুটি গ্রহণে অনুৎসাহিত করা বা বাধা প্রদান করা।
৫. অসুস্থ শ্রমিককে ক্লিনিকে যেতে বাধা প্রদান করা।
৬. পানি পানে বা টয়লেট ব্যবহারে বাধা প্রদান করা।
৭. চাকুরীর স্বাভাবিক অবসানের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করা বা নিষেধ করা।
৮. অতিরিক্ত সময়ে কাজের জন্য বল প্রয়োগ করা বা বিনা অনুমতিতে অতিরিক্ত সময়ে কাজ করতে বাধ্য করা।
৯. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর্মীকে চাকুরীতে কর্মরত থাকতে চুক্তিবদ্ধ করা ইত্যাদি।
১০. অতিরিক্ত টাকা অগ্রিম দিয়ে বা অন্য কোন কিছু জমা রেখে পদত্যাগ না করতে বাধ্য করা।
১১. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ না করা।

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এ ধরণের কোন কাজে সমর্থন করে না বরং এধরণের কোন ঘটনা ঘটার সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রæত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
পলিসির নাম ঃ বৈষম্যহীনতার নীতি (ঘড়হ-উরংপৎরসরহধঃরড়হ চড়ষরপু):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণকে সহ্য কওে না এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।
সমঅধিকার নিশ্চিত করন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করাই মূলত এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। মালিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং অধিনস্থ অধঃনস্থদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার শ্রমিক কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যে পর্যবাসিত করার কোন বিকল্প নেই।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দক্ষ ও বিশ^স্ত কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে প্রতিশ্রæতিবন্ধ এবং এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোন প্রকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও অঞ্চলভেদে নিয়োগদান না করে যোগ্যতা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দান করতে এবং অনুরূপ ভাবে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও যথাযথ কর্মী মূল্যায়নের মাধ্যমে তা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে উৎপাদনের সকল স্তরে বৈষম্যহীন পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয়, তবে প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্রবিশেষে ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়মও মানা হতে পারে। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবে।
নির্দেশিকা ঃ
১. কর্মসংস্থান, বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিটি কর্মচারীর যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্মদক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে কোন প্রকার ভেদাভেদ করা হবে না।
২. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল নারী পুরুষ যোগ্যতার ভিত্তিতে এখানে চাকুরী করতে পারবে।
৩. পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং আচার আচরনকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে কোন দিক থেকে বৈষম্য করা যাবে না।
৪. সকল ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন সর্বদা মেনে চলা হয় এবং শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকলকে সমান মর্যাদা দেওয়া হয়।
৫. কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের সাথে সঙ্গতিবিহীন কোন প্রশ্ন করা হয় না এবং চাকুরী প্রার্থীদের দরখাস্তসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে কেবলমাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
৬. কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারীর সাতে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সহিত আচরণ করবে এবং কর্মক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে।

পলিসির নাম ঃ হয়রানী ও উৎপীড়ণ মুক্ত নীতিমালা (চজঙঐওইওঞওঙঘ ঙঋ ঐঅজঅঝঝগঊঘঞ অঘউ অইটঝঊ চঙখওঈণ):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য সুন্দর কর্মপরিবেশ গড়ার জন্য ব্যবস্থাপনা হয়রানী ও উৎপীড়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কোন অবস্থাতেই কোন শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা তার অধঃস্তন বা উর্ধ্বতন বা সমপর্যায়ের কাউকে হয়রানী বা উৎপীড়নের পর্যায়ে পড়ে এমন কাজ করিতে পারিবে না। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ব্যব¯া’পনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে কোম্পানীর অব্যাহত উন্নতি এবং উৎদপাদন লক্ষমাত্রা অর্জন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন, হয়রানি ও লাঞ্চনার ¯ী^কার হন তবে তার প্রতিকার কামনা করা।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন,
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ হয়রানি ও লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ব অনুযোগ উত্তাপিত হলে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বায়ারগনের আচরনবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সং¯িষ্টø ধারা যথাযথভবে অনুসরন করবে।

হয়রানি বা অসদাচরণ এর প্রকারভেদঃ
কলকারখানায় কর্মরত শ্িরমকদের মাঝে নানাবিধ অভিযোগ এর কথা সচারচর শোনা যায়। ঐসব অভিযোগগুলিকে তাদের প্রকৃতিগত বিবেচনায় হয়রানি বা অসদাচরণতিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়, যেমনঃ-
মানসিক নির্যাতনঃ
 সুপারভাইজার বা সহযোগী শ্রমিকদের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক আচারণ, গালাগাল, অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার ইত্যাদি।
ওভারটাইম বন্টনে পক্ষপাতিত্ব।
 কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরণের আচরনের জন্য মজুরী কর্তন বা মজরুী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা
 ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন কাজের দায়িত্ব প্রদান বা কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে হেয় করার প্রবণতা
 আইন সঙ্গত এং স্বাভাবিক পাওনা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা
 প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া
শারিরীক নির্যাতনঃ
 সুপারভাইজার কিংবা তার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে অন্য শ্রমিক দ্বারা শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া
 যেকোন শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা অসু¯ত’ার সৃষ্টি করতে পারে
 ভারী কাজ নিয়মিতভাবে অর্পন করে শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্র¯ ’করা
 যে কোন ঘটনার সংগে জড়িয়ে গায়ে হাত তোলা বা প্রহার করা
যৌন নিপীড়ন জনিতঃ
 অনাকাঙ্খিত যৌন আবেদনমূলক আচরন (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিত) যেমন : শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা
 প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠনিক বা পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বা চেষ্টা করা
 অশালীণ অঙ্গভঙ্গি করা এবং যৌন আবেদন স¤^িলত পর্নোগ্রাফী প্রদশর্ন
 যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা উপহাস করা

পলিসির নাম ঃ সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতি (ঋৎববফড়স ড়ভ অংংড়পরধঃরড়হ চড়ষরপু):

লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ শ্রম ও শিল্প আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার অধিকারকে সাদরে গ্রহণ করেছে। এই দৃষ্টিকোন থেকে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত কোন শ্রমিক-কর্মচারী যাতে কোন ধরণের বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা হয়রানির স্বীকার না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখিয়া লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ “সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতি” প্রণয়ন করেছে।
ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার মাধ্যমে শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের এবং মালিকের সাথে শ্রমিকের সুসম্পর্ক গড়ে তোলাই মূলত এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের তাদের পছন্দমত শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করার এবং শ্রম আইন মোতাবেক উক্ত সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে কোন প্রকার বাধা, প্রতিবন্ধকতা বা হুমকি প্রদান করে না। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ কারখানার সকল কর্মীদের অধিকার ও উন্নতি সম্পর্কে সচেতন করতে চায়।
মালিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং অধিনস্থ ও অধঃনস্থদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার শ্রমিক কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ সংঘঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যে পর্যবাসিত করার কোন বিকল্প নেই।
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর গংঘঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দর ও বিশ^স্ত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং এই লক্ষ্যে লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোন প্রকার বাধা প্রদান না করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে ক্রেতাদের আচরণ বিধি , আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবে।

পলিসির নাম ঃ স্বাস্থ্য-সেইফটি নীতিমালা (ঐবধঃয ্ ঝধভবঃু চড়ষরপু):

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর প্রতিটি সেকশনের জন্য একটি সু-পরিকল্পিত বাস্তবতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন করা হয়। আর সেই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যগুলো নি¤েœ আলোকপাত করা হল ঃ-
ক্স প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ক্স প্রতিটি ফ্যাক্টরী ও পার্শ¦বর্তী এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
ক্স ফ্যাক্টরীর প্রতিটি ষ্টাফ ও শ্রমিককে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা ।
ক্স স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক প্রতিটি শ্রমিকের জন্য প্রয়োজনীয় হাসপাতাল,ডাক্তার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
ক্স ফ্যাক্টরীর প্রতিটি শ্রমিকের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ক্স অনাকাঙ্খিত বৈদ্যুতিক ও অগ্নি দুর্ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা,প্রশিক্ষন ও নিয়মিত অনুশীলন করা।

যেকোন দুর্ঘটনা হতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান এবং কর্মস্থলে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধান করাই এই নীতির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন এবং তা কার্যে পর্যবসিত করার কোন বিকল্প নেই।

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ দূর্ঘটনা মুক্ত একটি কর্ম পরিবেশ প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সবসময় অব্যহত রাখবে। এছাড়া যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা মোকাবেলায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনেও এই প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারবদ্ধ। তাছাড়া ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ আইএলও কনভেশন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
প্রশিক্ষনঃ
 নতুন শ্রমিকগণকে অরিএনটেশন টেনিং-এ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
 সকল শ্রমিকগণকে এ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
 সুপাইভারজর, লাইন চিপ এবং ম্যানেজারগনকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রধান করা হয়।
এই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিটি দুইটি পর্বে উপস্থাপন করা হবেঃ
ক) প্রথম পর্ব ঃ স্বাস্থ্য নীতি
খ) দ্বিতীয় পর্ব ঃ সেইফটি নীতি
পলিসির নাম ঃ কর্মঘন্টা নীতি (ডড়ৎশরহম ঐড়ঁৎং ঢ়ড়ষরপু):

লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান তৈরিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ এই কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্র বিশেষ ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়ম ও মানা হতে পারে লিবাস টেক্সটাইলস লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে।

প্রতিদিনের কাজের সময় সূচী ঃ
কর্তৃপক্ষ একটি মানসম্পন্ন কাজের সময় সূচী নির্ধারন করেছেন, যাহা বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রনীত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম ৮ ঘন্টার অতিক্রম করবেনা। প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় শুরু এবং বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় শেষ। সাধারন কার্যক্রমে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি বেলা ০১.০০টা থেকে বেলা ০২.০০টা পর্যন্ত।

সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা ঃ
প্রতিষ্ঠানে সাধারনত সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টার অধিক কাজ করানো হইবে না এবং অতিরিক্ত কর্মঘন্টা সহ সপ্তাহে কোন শ্রমিকের মোট কর্ম সময় (৪৮+১২) = ৬০ ( ষাট) ঘন্টার অধিক হবেনা এবং কোন বৎসওে উহা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ ( ছাপ্পান্ন) ঘন্টার অধিক হবেনা।
ওভারটাইম/ অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ঃ
অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ সেচ্ছাধীন, বাধ্যতামূলক নয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যেমন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, লক আউট, ধর্মঘট, বৈদ্যুতিক বিপর্যয়, মেশিনারিজ সমস্যা, রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ইত্যাদির কারনে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা জরুরী শিপমেন্ট এর কাজের কারনে অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করানো যাবে। যদি কোন শ্রমিক ইচ্ছা করেন তিনি অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করবেন না তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কোন বাঁধা দিতে পারবেনা। এই অতিরিক্ত কাজের সময় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ১২ ঘন্টা। কর্তৃপক্ষ কখনোই অতিরিক্ত কাজকে উৎসাহিত করে না তবে উপরোক্ত জরুরী কাজের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শ্রমিকদের সম্মতিতে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে।

পলিসির নাম ঃ অভিযোগ প্রদান ও সমাধান নীতি (এজওঊঠঅঘঈঊ ঐঅঘউখওঘএ চজঙঈঊউটজঊ):
লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এ কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অভিযোগ, অনুযোগ এবং পরামর্শ নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এই নীতিমালা লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পন্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি লিবাস টেক্সটাইলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রয়োগ হবে।
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন
লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ বা অনুযোগ উত্তাপিত হলে এবিসি
কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। এবিসি মিলস্ লিঃ এই নীতি কার্যকর করতে
আচরনবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ যথাযথ ভাবে অনুসরন করবে।

যে কোন অভিযোগ সাত দিনের মধ্যে মিটিং এর মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয় । যদি সাত দিনে পারা না যায় সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় উল্লেখ করে সমাধান করা হবে বলে অঙ্গিকার করা হয়। যদি এটা শ্রমিকের সন্তষজনক না হয় তাহলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে। মিটিং সমাধানের উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সমাধান না হলে সে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে।

Contact us

Jabber Tower, Level: 11

42, Gulshan Avenue, Gulshan- 1 ,

Dhaka 1212

info@libastex.com

Copyright 2022 © All Rights Reserved